আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্রবহনে সক্ষম বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের গোপন পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান। তথ্যের নিশ্চয়তা দিয়ে এই দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর মধ্য দিয়ে এ ধরনের পরীক্ষার ওপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ করেছে ইরান।
রয়টার্স অনলাইনের এক খবরে শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সামান্থা পাওয়ার শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘সম্প্রতি ইরানের বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, ‘পর্যাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা শেষে আমরা নিশ্চিত হয়েছে, ১০ অক্টোবর পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপের উপযোগী মধ্য পাল্লার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে ইরান। যা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা ১৯২৯- এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।’
শুক্রবার ওই বিবৃতিতে পাওয়ার আরো বলেন, ‘এই ঘটনার ওপর একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করছে যুক্তরাষ্ট্র, যা নিরাপত্তা পরিষদের ‘‘ইরান নিষেধাজ্ঞা কমিটি’’-কে দেওয়া হবে এবং নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে সরাসরি উত্থাপন করা হবে।’
নিরাপত্তা পরিষদের কূটনীতিকরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের ব্যক্তিবিশেষদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যেতে পারে এবং বিদ্যমান কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করাও যেতে পারে। তবে আশঙ্কা হচ্ছে, নিরাপত্তা পরিষদের এ ধরনের উদ্যোগ চীন ও রাশিয়ার বিরোধিতায় ভেস্তে যেতে পারে।
ইরানের পরমাণু ক্ষেপণান্ত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আছে। তাদের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাও আছে। তবে শর্ত সাপেক্ষে অন্য দেশের সঙ্গে পারমাণবিক কার্যক্রম চালাতে পারে ইরান। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) অনুমতি নিতে হয় আগে।